নামের পরে সাহেবের তকমা লাগাতে আধুনিক জামানায় মানুষ কত কিছুই না করে। পদধারী হলে তো কথাই নেই। টাকার বিনিময়ে 'সাহেব' ডাকতে অনেকেই মরিয়া হয়ে ওঠেন। স্বজনদের টাকা বিলিয়ে ''সাহেব' ডাক প্রচলনের প্রথার নজির যে জনপদে সেখানে তাঁর বেলায় ব্যতিক্রম।
বয়োজ্যেষ্ঠরা নাম ধরে আর অনুজ'রা "ভাই"বলে ডাকলে বেজায় খুশি হন তিনি। ব্যতিক্রম এ মানুষটি এলাকার সবার প্রিয় জনপ্রতিনিধি "দেলোয়ার" হোসেন তালুকদার। সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের তরং গ্রামের মরহুম সুলেমান হোসেন তালুকদারের ছেলে তিনি।
বংশ পরস্পরায় নীতি-আদর্শে বলিয়ান সর্বদা হাস্যোজ্জ্বল, টগবগে এই তরুণ গেল নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচিত হন। সাবলীল ভাষাভাষীর মহৎ এই জনপ্রতিনিধি ক'দিন যেতে না যেতেই পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে যান।
সেই থেকে সুনির্দিষ্ট সীমারেখার পাশাপাশি এলাকার মানুষের সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে জনতার জান-মালের প্রহরী হয়ে নিরলসভাবে সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। তাঁর এসব মহতী উদ্যোগ দেখে সর্বজনের ভাষ্য, একদিন কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছবেন জনন্দিত এই প্রতিনিধি।
জানা গেছে, শ্রীপুর গ্রামের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিন ধরে ছিল চরমে। সেই দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে আরও একটি মহৎ কাজের সূচনা করলেন জনতার দেলোয়ার।
শনিবার (১৩ মে) মধ্যাহ্নভোজের মধ্যদিয়ে এ দ্বন্দ্বের অবসান ঘটে। যদিও কুৎসিত মানুষদের পীড়াদায়ক খবর তবে সৃজনশীল, আদর্শিক-সচেতন মহলের ভূয়সী প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন তরুণ এই সমাজকর্মী।
এলাকার কয়েকজন প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, শ্রীপুর গ্রামের দুই গোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব নিরসনে নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় কাজ। বয়সে তরুণ এই জনপ্রতিনিধির নিভৃতে সমাধান করা আরও মহৎ কাজ আমাদের চোখে পড়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্যানেল চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, আপনজনের মাঝে ঝগড়া-ঝামেলা হতেই পারে। এটাকে ইন্ধন দিয়ে সংঘাতের দিকে নিয়ে যাওয়া অপরাধ ও গুনাহের কাজ।
এসব থেকে সম্মিলিতভাবে বেড়িয়ে আসতে হবে। জনসেবায় প্রতিশ্রতিবদ্ধ হয়েছি। আমৃত্যু মানুষের কল্যাণে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে নন্দিত এই জনপ্রতিনিধি পরিচ্ছন্ন সমাজ গঠনে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
পিকে/এসপি
জনতার প্রিয় জনপ্রতিনিধি "দেলোয়ার হোসেন তালুকদার"
- আপলোড সময় : ১৩-০৫-২০২৩ ১০:০৪:৩৮ অপরাহ্ন